ভরা মৌসুমে ইলিশের কমতি নেই রাজধানীর বাজারগুলোতেও। ইলিশের উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এর আকার। জাটকা নিধন বন্ধ রাখা আর প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করার ফলে ইলিশের উৎপাদন আর আকার বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত কয়েকদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি মাছ বাজার, বাড্ডা মাছ বাজার ও যাত্রাবাড়ী মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশ ইলিশ বড় আকারের। যেগুলোর ওজন প্রায় ৭৫০ গ্রাম থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত। আর সবচেয়ে কম দেখা গেছে জাটকা। জাটকা বলতে লেজের শেষাংশ থেকে মাথা পর্যন্ত ১০ ইঞ্চির ইলিশকে বোঝানো হয়।
জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞার সফলতাকে অনুসরণ করে সাগরের মূল্যবান মৎস সম্পদ সুরক্ষায় চলতি বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এসময়ে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি শুধু ইলিশ ধরা পড়ত জেলের জালে। এছাড়া প্রজনন মৌসুমে টানা ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। এসব কারণে জাটকা ইলিশ বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মাসুদ আরা মমি বলেন, চলতি বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে ৬৫ দিন সব মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এছাড়া অন্যান্য বছর ট্রলার গভীর সমুদ্রে গেলেও এবার মাছ ধরার ট্রলার ও বাণিজ্যিক ট্রলারকে যেতে দেওয়া হয়নি। আবার প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল ২২ দিন। এ হিসেবে বলা যায় ইলিশকে প্রকেক্ট করা সহজ হয়েছে। ইলিশ সমুদ্র থেকে ম্যাচিউরড (পরিপক্ব) হয়ে নদীতে আসছে। ডিম দেওয়ার পর আবার নিরাপদে যেতে পারছে। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অভিযান জোরদারের ফলেই এই সফলতা। আমরা এখন বাজারে বড় বড় ইলিশ দেখছি।
তবে ইলিশের আকার বড় হলেও দামটা তুলনামূলক বেশি। এক্ষেত্রে আরও কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন সাধারণ ক্রেতারা। এসব বাজারে পাইকারি দরে ৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এছাড়া এক কেজি সাইজের ইলিশ এক হাজার টাকা, দেড় কেজি সাইজের প্রতি কেজি দেড় হাজার টাকা, দুই কেজি সাইজের ইলিশ দুই হাজার ৬০০ টাকা এবং আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের ইলিশ দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন