কার্তিক মাস শেষ হয়ে গেছে কিন্তু এখনো বৃষ্টি হচ্ছে বর্ষার মতো। টানা বৃষ্টির ফলে বেকায়দায় পড়ে গেছেন দিনাজপুরের বিরামপুরের আলুচাষীরা। অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় বীজের পচন ঠেকাতে আলু তুলে ফেলছেন তারা। তবে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে বীজ আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও তা খুব মারাত্মক নয়।
উপজেলা কৃষি অফিস এর তথ্যমতে জানা গেছে, দেশের উত্তরাঞ্চলে সাধারণত কার্তিকের মাঝামাঝি থেকে আলুর বীজ লাগানো শুরু হয়। তবে ভরা মৌসুমে দাম আশানুরূপ না পাওয়ায় অনেকে আগাম আলু চাষ করেন। যার কারণে এরই মধ্যে বিরামপুরে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে আলুর বীজ রোপণ করা হয়েছে। এবার বিরামপুর উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিগত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বীজের পচন ঠেকাতে তারা জমি থেকে আলু তুলে ফেলছেন।
মাধবপুর গ্রামের এক আলুচাষী জানান, এবার তিনি ১৪ বিঘা জমিতে সর্বমোট ৫৬ বস্তা আলুবীজ লাগিয়েছন। এই বীজের দাম পড়েছে প্রায় ৯৮ হাজার টাকা। এছাড়া সার, শ্রমিক খরচ ও জমি চাষ মিলিয়ে শুধু আলুবীজ লাগাতেই প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে রোপিত বীজ আলুতে পচন ধরে তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে রোপণকৃত কিছু জমির আলুর বীজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার পরিমাণ খুব বেশি নয়।
আনন্দবাজার/শাহী
মন্তব্য করুন